বন‍্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাম সরকার বা তৃণমূল কেউ কাজ করেনি : অগ্নিমিত্রা

4th August 2021 8:33 pm বাঁকুড়া
বন‍্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাম সরকার বা তৃণমূল কেউ কাজ করেনি : অগ্নিমিত্রা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  '৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকার, ১১ বছরের তৃণমূল সরকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোন কাজ করেনি'। অভিযোগ বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ও আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের ।

বুধবার তিনি বাঁকুড়ার সোনামুখীর দামোদর তীরবর্ত্তী বন্যাকবলিত রাঙ্গামাটি, কেনেটি, পাণ্ডে পাড়া, সমিতি মানা এলাকা ঘুরে দেখার ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সামান্য খরচেই এই নদীবাঁধ সংস্কার করা যেতো, কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত, চরম সমস্যায় কৃষিজীবি মানুষ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'তৃণমূলের নেতা কর্মীরা যখন আরামে ঘুমোচ্ছেন, ঠিক তখন এই মানুষ গুলি ঘুমোতে পারছেননা। কখন দামোদরের জল ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়! রাজ্যের ক্লাব গুলিকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, অথচ রাজ্যে কোন মেডেল আসছেনা। অথচ বিগত বাম সরকার এই বাঁধ গুলি তৈরী করে দিয়ে গেলেও ১১ বছরের তৃণমূল সরকার এদিকে কোন নজর দেয়নি বলেই তিনি স্পষ্টতই অভিযোগ করেন ।

অগ্নিমিত্রা পল এদিন বন্যাবিধ্বস্ত ঐ গ্রাম গুলির মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা , সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামী , কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালি প্রতিহার , ওন্দার বিধায়ক অমর শাখা প্রমুখ ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।